সোনালী ব্যাংক সিলেট অঞ্চলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘সোনালী ব্যাংক রিটায়ার্ড অফিসার্স ফোরাম, সিলেট’ এর দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সোমবার (৩ জুন) রাতে সিলেট নগরীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে মোঃ কামাল মিয়া ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শুকুরকে তৃতীয়বারের মতো যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ২০২৪-২৬ মেয়াদের জন্য ২৭ সদস্য বিশেষ্ট নতুন কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহ সভাপতি তিনজন – আব্দুল ওয়াহিদ, সাধন চন্দ্র পাল, মীরা নাগ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তিনজন- মৃনাল কান্তি গোস্বামী, দেবো রঞ্জন চক্রবর্তী, সেলিম আহমেদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক- কমলেশ পুরকায়স্থ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক- সিরাজুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক- সৈয়দ মাহমুদ আখতার, সহ অর্থ সম্পাদক- বীরেশ চন্দ্র তালুকদার, দপ্তর সম্পাদক- সুব্রত কান্তি দাস, প্রচার সম্পাদক- মোঃ রুহুল আমীন, সহ প্রচার সম্পাদক- মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক- দীপক রঞ্জন রায়, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক- সুমিতা দত্ত। নির্বাহী সদস্য: দশজন- সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, গৌরেন্দ্র কুমার দেব, শুভেন্দু রঞ্জন দে, সীতেশ চন্দ্র দাস, সুদ্বীপ চৌধুরী, প্রবাল চন্দ্র রায়, বীরেন্দ্র চন্দ্র মজুমদার, মোঃ এনাম উদ্দিন, মোঃ ফজল মিয়া ও মোঃ মইনুল হক। উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন- অনন্ত কুমার সিংহ, মোস্তফা কামাল চৌধুরী, রনধীর চন্দ্র পাল, মোঃ আব্দুর রউফ তালুকদার, মোঃ আবু বকর সিদ্দীক ও বিনয় কৃষ্ণ সাহা।

সম্মেলনের আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সোনালী ব্যাংক পিএলসি সিলেট বিভাগীয় প্রধান জেনারেল ম্যানেজার মোঃ দেলোয়ার হেসেন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ডিজিএম এমরান উল্লাহ্, ডিজিএম পংকজ কুমার গোলদার, ডিজিএম ইয়াকুব ডিজিএম সমীর কুমার বিশ্বাস, ডিজিএম হিমাংশু আচার্য, ডিজিএম শেখ মোহাম্মদ সুজাদুল হক। এছাড়াও বিভিন্ন অফিস এবং শাখার এজিএম ও ম্যানেজারগণ উপস্থিত ছিলেন।

মোঃ কামাল মিয়ার সভাপতিত্বে ও সুব্রত কান্তি দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ফোরামের দ্বিবার্ষিক রিপোর্ট পেশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শুকুর, আর্থিক রিপোর্ট পেশ করেন সৈয়দ মাহমুদ আখতার। সভার শুরুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন সুব্রত কান্তি দাস।
আলোচনা পর্বে প্রখ্যাত লেখক এ কে শেরাম নামে খ্যাত ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ডিজিএম অনন্ত কুমার সিংহ ফোরাম গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিএম দেলোয়ার হোসেন ফোরামের অগ্রযাত্রা ও সাফল্য কামনা করে বলেন, অবসর ও কর্মহীনতা মানুষকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতার দিকে ধাবিত করে। ফোরামের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ রক্ষার কাজটি যে অব্যাহত রেখেছে, তাতে আমরা যারা অচিরেই অবসরে যাবো-তারা অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত বোধ করছি।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমীর কুমার বিশ^াস, মোঃ এমরান উল্লাহ্, হিমাংশু আচার্য, শেখ মোহাম্মদ সুজাদুল হক, সৈয়দ ফরহাদ হোসেন সমীর কুমার বিশ্বাস, রনধীর দাস, আব্দুর রউফ তালুকদার প্রমুখ।