সিলেট ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ সুরমায় বন্যার্তদের মাঝে অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে জেলা বিএনপি

ক্লিক সিলেট ডেস্ক
  • প্রকাশ: ০৭:৩৭:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪
  • / ৫৮ বার পড়া হয়েছে
দক্ষিণ সুরমায় বন্যার্তদের মাঝে অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে জেলা বিএনপি

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, পাহাড়ি ঢল আর বিরামহীন বৃষ্টিতে সিলেটে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি বড়ার সাথে সাথে মানুষের আর্থনাদও বাড়ছে। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মানুষ বিরামহীনভাবে ছুটে চলছে। মানুষের ঘর বাড়ি, খেত খামার সব ভেসে গেছে। সরকার আজ জনগণের পাশে নেই। বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের সব নেতাকর্মীদের নিয়ে সাধ্যমত বানভাসিদের পাশে থাকার চেষ্টা করছে। আমরা সরকারের কাছে আগেও দাবি জানিয়েছি, এখনো জানাচ্ছি- বন্যা দুর্গত মানুষদের দীর্ঘ অন্তত ৬ মাস খাদ্য সহায়তা দিয়ে পুনর্বাসন করতে হবে। পাশাপাশি সুরমা-কুশিয়ারা সহ সিলেটের সকল নদনদী খনন করতে হবে।

শনিবার দিনভর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের ইন্নাতালিপুর, মির্জানগর ও মানিকপুর এলাকায় সিলেট জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ৫৩০ টি পানিবন্দি বন্যার্ত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থনসহায়তা প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বানবাসিদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, বিগত ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় আমরা বার বার সুরমা-কুশিয়ার নদী সহ সকল নদ নদী খনন করার জন্য দাবি জানিয়েছিলাম, পাশাপাশি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার এতে কর্ণপাত করেনি। উল্টো সিলেট অঞ্চলের পানি নিষ্কাসন প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত করে হাওরের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ টিপাইমুখ বাঁধ সহ বিভিন্ন বাঁধ নির্মাণ করে শুকনো মৌসুমে আমাদের ন্যায্য হিসার পানি বন্ধ করে দেয়, যার ফলে দেশের কৃষি খাত মারাত্মক বিপর্যস্ত হয়। আর বর্ষার মৌসুমে পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদের দেশকে বাসিয়ে দেয়। পানিবন্দি মানুষের আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। অবিলম্বে সুরমা-কুশিয়ারা সহ সকল নদনদী খনন করে সিলেটবাসীকে বন্যা থেকে রক্ষা করার উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যতায় প্রতিবছরই বার বার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

এসময় সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় পুরো সিলেটবাসী আজ গভীর সংকটে পড়েছে। বাসস্থান ও খাদ্য, নিরাপদ পানির সংকটের পাশাপাশি তারা স্বাস্থ্যঝুকিতে দিনযাপন করছেন। এমন সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে সামর্থ অনুযায়ী সবাইকে থাকতে হবে। সিলেটবাসীর বিপদে বিএনপি সব সময় ছিল, আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তাজরুল ইসলাম তাজুল ও কোহিনুর আহমদ, সহ দপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তুরন, সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আকবর হোসেন, সদস্য আশরাফুল আলম বাহার, ওজি মোহাম্মদ কাউসার, লিটন আহমদ চৌধুরী, পাবেল রহমান, অলিউর রহমান, আরিফ আহমদ চৌধুরী, আব্দুল মজিদ, এনামুল আজিজ মুন্না, আব্দুস সালাম টিপু, এনামুল কবির সুহেল, আব্দুস সামাদ লস্কর মুনিম, রুবেল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন রাহেল, আবুল কাশেম, রাসেল আহমদ, জুবায়ের আহমদ শিমুল, হীরা মিয়া, রাজন আহমদ প্রমুখ।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দক্ষিণ সুরমায় বন্যার্তদের মাঝে অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে জেলা বিএনপি

প্রকাশ: ০৭:৩৭:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪
দক্ষিণ সুরমায় বন্যার্তদের মাঝে অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে জেলা বিএনপি

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, পাহাড়ি ঢল আর বিরামহীন বৃষ্টিতে সিলেটে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি বড়ার সাথে সাথে মানুষের আর্থনাদও বাড়ছে। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মানুষ বিরামহীনভাবে ছুটে চলছে। মানুষের ঘর বাড়ি, খেত খামার সব ভেসে গেছে। সরকার আজ জনগণের পাশে নেই। বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের সব নেতাকর্মীদের নিয়ে সাধ্যমত বানভাসিদের পাশে থাকার চেষ্টা করছে। আমরা সরকারের কাছে আগেও দাবি জানিয়েছি, এখনো জানাচ্ছি- বন্যা দুর্গত মানুষদের দীর্ঘ অন্তত ৬ মাস খাদ্য সহায়তা দিয়ে পুনর্বাসন করতে হবে। পাশাপাশি সুরমা-কুশিয়ারা সহ সিলেটের সকল নদনদী খনন করতে হবে।

শনিবার দিনভর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের ইন্নাতালিপুর, মির্জানগর ও মানিকপুর এলাকায় সিলেট জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ৫৩০ টি পানিবন্দি বন্যার্ত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থনসহায়তা প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বানবাসিদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, বিগত ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় আমরা বার বার সুরমা-কুশিয়ার নদী সহ সকল নদ নদী খনন করার জন্য দাবি জানিয়েছিলাম, পাশাপাশি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার এতে কর্ণপাত করেনি। উল্টো সিলেট অঞ্চলের পানি নিষ্কাসন প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত করে হাওরের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ টিপাইমুখ বাঁধ সহ বিভিন্ন বাঁধ নির্মাণ করে শুকনো মৌসুমে আমাদের ন্যায্য হিসার পানি বন্ধ করে দেয়, যার ফলে দেশের কৃষি খাত মারাত্মক বিপর্যস্ত হয়। আর বর্ষার মৌসুমে পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদের দেশকে বাসিয়ে দেয়। পানিবন্দি মানুষের আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। অবিলম্বে সুরমা-কুশিয়ারা সহ সকল নদনদী খনন করে সিলেটবাসীকে বন্যা থেকে রক্ষা করার উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যতায় প্রতিবছরই বার বার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

এসময় সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় পুরো সিলেটবাসী আজ গভীর সংকটে পড়েছে। বাসস্থান ও খাদ্য, নিরাপদ পানির সংকটের পাশাপাশি তারা স্বাস্থ্যঝুকিতে দিনযাপন করছেন। এমন সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে সামর্থ অনুযায়ী সবাইকে থাকতে হবে। সিলেটবাসীর বিপদে বিএনপি সব সময় ছিল, আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তাজরুল ইসলাম তাজুল ও কোহিনুর আহমদ, সহ দপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তুরন, সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আকবর হোসেন, সদস্য আশরাফুল আলম বাহার, ওজি মোহাম্মদ কাউসার, লিটন আহমদ চৌধুরী, পাবেল রহমান, অলিউর রহমান, আরিফ আহমদ চৌধুরী, আব্দুল মজিদ, এনামুল আজিজ মুন্না, আব্দুস সালাম টিপু, এনামুল কবির সুহেল, আব্দুস সামাদ লস্কর মুনিম, রুবেল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন রাহেল, আবুল কাশেম, রাসেল আহমদ, জুবায়ের আহমদ শিমুল, হীরা মিয়া, রাজন আহমদ প্রমুখ।